Power of attorney Bangladesh

+8801929125100

জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে কি করবেন ?

জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে কি করবেন ?

বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে প্রথম প্রমান হল জাতীয় পরিচয় পত্র। দরকারী কাগজপত্রে তালিকায় জাতীয় পরিচয়পত্রের স্থান সবার উপরে। জাতীয় পরিচয়পত্রের গুরুত্ব বুঝতে হলে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের কথা ভাবুন। সরকারী বিভিন্ন সেবা, স্বীকৃতি ও সুবিধা সহ ব্যংকিং ও পাসপোর্ট সবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্র অত্যন্ত জরুরী। জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যাপকভাবে ভোটার আইডি কার্ড হিসাবে পরিচিত।

অনেক সময় মনের ভুলে কিংবা দূর্ঘটনা জনিত কারনে জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেলি আমরা। এর ফলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের জটিলতা ও হয়রানির স্বীকার হতে হয়। অনেক সময় জাতীয় পরিচয়পত্র হারানোর ফলে নতুন কপি উঠানোর জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও কেবল সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকায় অনেক সময় অপচয় হয়।

জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে যা যা করতে হবে তা ধাপে ধাপে নিচে বর্ননা করা হল:

১ম ধাপ

জাতীয় পরিচয়পত্র হরানো গেলে সবার আগে যে কাজ করতে হবে তা হলো থানায় জিডি দায়ের করা। জিডিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের বিস্তারিত বর্ননা থাকা জরুরী যেমন, নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, আইডি নাম্বার ইত্যাদি।

জনপ্রিয় টপিকসমূহ

জিডি সরাসরি লিখে থানায় জমা দিতে পারেন। বর্তমানে থানাতে জিডির নির্ধারিত ফরম পাওয়া যায় যাতে হাতে লিখেও জিডি দায়ের করার সুবিধা থাকে। নিজে যদি প্রিন্ট করে জমা দিতে চান তাহলে দুই কপি প্রিন্ট করে নিবেন। এক কপি থানায় জমা রাখবে। আর এক কপি সীল মেরে আপনাকে ফেরত দিবে।

২য় ধাপ

থনায় জিডি দায়ের করার পর আপনাকে জিডির যে রিসিপ্ট কপি ফেরত দেয়া হয়েছে সেই কপি সহ আপনার এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন কমিশন অফিসে যেতে হবে। থানা/উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে হারানো জাতীয় পরিচয় পত্র উত্তোলন বা ডুপ্লিকেট কপি সরবরাহ করার ফর্ম নিতে হবে। ডুপ্লিকেট কপি সরবরাহ করার ফর্ম এ সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে জমা দিবেন। সরকার নির্ধারিত আবেদন ফি সোনালী ব্যংকে চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে উক্ত চালানের কপি আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। যথাযথ ভাবে আবেদন জমা প্রদান করার ৪৫-৯০ দিনের মধ্যে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের অনুলিপি জমাদান কারী অফিসে চলে আসবে।

৩য় ধাপ

আপনি যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার হারানো জাতীয় পরিচয় পত্রের ডুপ্লিকেট কপি উত্তোলন করতে চান তাহলে সরাসরি ঢাকার আগারগাঁও এ এসে সরাসরি নির্বাচন কমিশন অফিসে জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে পারেন। জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করলে সাধারনত ১০-১৫ দিনের মধ্যে আপনার জাতীয় হারানো পরিচয় পত্রের অনুলিপি পেয়ে যাবেন।

হারানো বা নষ্ট হওয়া জাতীয় পরিচয় পত্র উত্তোলনের আবেদন ফরম

অনলাইনে আবেদন

আপনি যদি সরাসরি হারানো জাতীয় পরিচয় পত্র উত্তোলন এর আবেদন করতে অপারগ হন তাহলে অনলাইনেও আবেদন দাখিল করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন এর ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে পারবেন এবং আবেদন ফি ও অনলাইনে দাখিল করতে পারবেন। আবেদন লিংক http://www.ecs.gov.bd

উপরে বর্নিত লিংকে প্রবেশ করলে হারানো ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলনের পিডিএফ ফরম পাবেন। ফরমটি ডাউনলোড করে পূরণ করবেন এবং পূরণ করা শেষে প্রিন্ট করবেন। সবশেষে আপনার পূরণকৃত ফরমটি ২য় ধাপে বর্ণি ত পদ্ধতিতে আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে জমা দিবেন। আপনি চাইলে ঢাকাস্থ নির্বাচন কমিশন অফিসে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে জমা দিতে পারবেন।

সবচেয়ে বেশী পাঠিত হয়েছে
নতুন ভোটার নিবন্ধন এর পদ্ধতি- ২০২২ ।। NEW VOTER ENLISHMENT PROCESS -2022
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ( প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, ফি এবং পদ্ধতি)
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সম্পর্কিত ২০ টি কমন প্রশ্ন-উত্তর

আবেদনকারীর জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনাবলী

(১) আবেদনপত্রে আবেদনকারীর স্বাক্ষর কমিশনের ডাটাবেজে সংরক্ষিত আবেদনকারীর স্বাক্ষরের অনুরূপ হইবে।

(আঠারো বছরের কম বয়স্ক/ আদালত কর্তৃক অপ্রকৃস্থ ঘোষিত পরিচয়পত্রধারীর ক্ষেত্রে, পিতা/মাতা/ আইনানুগ অভিভাবক অত্র আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করিবেন সেক্ষেত্রে উক্ত পিতা/মাতা/ অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি অবশ্যই জমা দিতে হইবে।)


(২) জাতীয় পরিচয়পত্র হারাইয়া গিয়াছে বা নষ্ট হইয়াছে মর্মে থানায় রুজুকৃত সাধারণ ডায়েরি (জি,ডি) তে সংশি-ষ্ট পরিচয়পত্রধারীর ভোটার নম্বর/জাতীয় পরিচিতি নম্বর/ নিবন্ধন ফরম নম্বর লিখা থাকতে হবে।


(৩) আবেদনপত্রের সহিত সাধারণ ডায়েরির (জি,ডি) কপি সংযুক্ত করিতে হইবে।


(৪) আবেদনপত্রের সহিত হারানো বা নষ্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি (যদি থাকে) সংযুক্ত করিতে হইবে।


(৫) আবেদনপত্র নাকি জরুরি বা সাধারণ উল্লেখ করতে হইবে।


(৬) কোন নাগরিক কর্তৃক একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।


(৭) আবেদনপত্রের সহিত জন্ম নিবন্ধন সনদের অনুলিপি দাখিল করিতে হইবে।


(৮) আবেদনের কোন ভূল থাকলে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সংশোধন না করিলে আবেদন বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।

ভোটার আইডি কার্ডের বিভিন্ন তথ্য সংশোধনের নিয়ম জানতে ক্লিক করুন

তালাক দেওয়ার বৈধ নিয়ম
জমির ১৫ প্রকার দলিল সহজে চেনার উপায়
জমি বেদখল হলে কী করবেন
মামলা থাকলে কি চাকরী হয়?
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সম্পর্কিত ২০ টি কমন প্রশ্ন-উত্তর 
মুসলিম আইনে সম্পত্তিতে নারীর অধিকার
দলিল বাতিল হবার বিভিন্ন কারন 
জমির খতিয়ান যাচাই করুন অনলাইনে
ডিভোর্স ‍দিলে কি দেনমোহর দিতে হয়
Facebook
Twitter
LinkedIn

সাম্প্রতিক পোস্ট

ভাড়া চুক্তিপত্র

দোকান / বাণিজ্যিক স্পেস ভাড়া চুক্তিপত্র নমুনা

বাড়ি ভাড়া বা দোকান ভাড়া দেয়া-নেয়ার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের মধ্যে সু-নির্দিষ্ট চুক্তি থাকা আবশ্যক। উক্ত চুক্তি পত্রে উভয়ৈর দ্বায়িত্ব – কর্তব্য এবং আর্থিক লেনদেনর বিষয় উল্লেখ থাকতে হয়। চুক্তি মেয়াদ শুরু, চুক্তি মেয়াদ শেষ এবং উপ-ভাড়াটিয়া নিয়োগ ও সার্ভিস চার্জ প্রদানের মতো সুক্ষ বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে দু-পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে নিতে হয়। ভাড়া চুক্তির মধ্যে এসব বিষয় উল্লেখ না থাকে ভাড়া দাতা এবং ভাড়াটিয়া দুজনের মধ্যে ভবিষ্যতে বিভিন্ন ঝামেলার সৃষ্টি হয়। একটি আদর্শ ভাড়া চুক্তির নমুনা এখানে দেয়া হল আমাদের পাঠকদের বুঝার সুবিধার্থে।

Read More »
দেনমোহর আদায়

দেনমোহর আদায় করবেন কিভাবে ?

আমাদের সমাজে দেখা যায় বিয়েতে দেনমোহর নগদ পরিশোধের ব্যাপারটি সরাসরি উপেক্ষা করা হয়। হাতে গোনা কয়েকটা বিয়ে ছাড়া নগদ দেনমোহর আদায় এর উদাহরন খুব কম। অনেকে আবার দেনমোহর দেয়া দূরের কথা বিয়েতে দেয়া বিভিন্ন উপহার কে উসূল দেখিয়ে দেনমোহরের সাথে স্বমন্বয় করে নেয়। বিয়ের পর বক্রী দোনমোহরের অর্থ নিজ তাগিদে কোন স্বামী পরিশোধ করেন না ফলে স্ত্রী তাহার দেনমোহরের পাওনা হতে আজীবন বঞ্চিত থাকেন।

Read More »

নামজারী আবেদন নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া

কামাল দুই বিঘা জমির মালিক এবং সে নিয়মিত সরকারী খাজনা পরিশোধ করে থাকে। সরকারী অফিসে লেখা আছে যে, কাওলা মৌজার আরএস ৫১০ দাগের ২ বিঘা জমির মালিক কামাল। পরবর্তীতে, কামাল উক্ত জমি রহমত এর নিকট বিক্রী করে। যেহেতু বর্তমানে রহমত মালিক কাজেই কামালের নাম কেটে রহমতের নাম সরকারী কাগজপত্রে লিপিবদ্ধ করাই মূলত নামজারী ।

Read More »

Recent