Power of attorney Bangladesh

+8801929125100

জন্ম নিবন্ধন সকলের জন্য ব্যধ্যতামূলক (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ ;ধারা ৫(১), ৬ক এবং ৮(১)) । এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে জন্ম সনদ আবশ্যক। আবার মৃত্য সনদ করতেও জন্ম সনদ আবশ্যক। মনে রাখবেন  মৃত্যু নিবন্ধন না করলে উত্তরাধিকার বন্টনে ঝামেলা হয়। জমজ সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রথমে একের পর এক আবেদন করে অনলাইনে সাবমিট করতে হবে তারপর যথাযথ নিয়মে নিবন্ধন করতে হবে । একটি নিবন্ধন সমাপ্ত করে ফেললে অপর আবেদনটি অনলাইনে সাবমিট করতে সমস্যা হবে।
বন্টনকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত (বৃহত্তম এক পক্ষের অংশের মূল্য বাদ দিয়ে) হিসাব করে (ক)মোট মূল্য অনুর্ধ ৩ লক্ষ টাকা হলে ৫০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮বি (১) অনুসারে)। (খ) মোট মূল্য অনুর্ধ ১০ লক্ষ টাকা হলে ৭০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮বি (২) অনুসারে)। (গ) মোট মূল্য অনুর্ধ ৩০ লক্ষ টাকা হলে ১২০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮বি (৩) অনুসারে)।
পরিশোধ করবে নাকি কিস্তিতে পরিশোধ করবে সব লিখে রাখবেন। যাকে টাকা দিচ্ছেন তার পরিবারের সদস্য কাউকে স্বাক্ষী রাখবেন।
মুসলিম আইনে উত্তারাধিকার সম্পত্তি বন্টনের জন্য সুনির্দিষ্ট এবং সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। মুসলিম উত্তরাধিকার আইন কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াসের উপর প্রতিষ্ঠিত। মুসলিম আইনে মোতাবেক সম্পত্তি বিলি বা বন্টনের নিয়মে ফারায়েজ বলে। মুসলিম স্কুল অব ল এর বিভিন্ন শাখায় সম্পত্তি বন্টনের আলাদা নিয়ম প্রচলিত আছে। যেহেতু আমাদের দেশে সুন্নি মুসলমানদের অনুসারী বেশী কাজেই, নিম্নে হানাফী আইন মোতাবেক উত্তরাধিকার উল্লেখ করা হল-
পুরুষ হিসাবে উত্তরাধিকারসূত্রে শুধু মা-বাবার সম্পদ থেকেই অংশ পায়। অপরদিকে একজন নারী সন্তান হিসেবে মা-বাবার কাছ থেকে, এবং বিয়ের পর স্বামী মারা গেলে স্ত্রী হিসেবে স্বামীর কাছ থেকে, মা হিসেবে সন্তানের কাছ থেকে সম্পত্তির অংশ পায়।  নারীদের ওয়ারিশান সব দিক বিবেচনা করলে নারীরা একজন পুরুষের চেয়ে বেশী সম্পত্তির উত্তারাধিকার হয়। মুসলিম আইনে নারীদের সম্পত্তির যে অধিকার রয়েছে তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হলে কোনো নারী উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে বঞ্চিত হবে না। আমাদের দেশে বেশির ভাগ মুসলিম নারী আইন অনুযায়ী প্রাপ্য অধিকার পায় না। এতে স্বামী মারা গেলে বা বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তাদের অনেক কষ্ট ভোগ করতে হয়।
দলিল সম্পাদন বা গ্রহণের জন্য পক্ষগণকে চুক্তি সম্পাদনের যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হয়। অর্থাৎ সম্পাদন কারী অবশ্যই সাবালক হবে, সুস্থ্য বুদ্ধি সম্পন্ন  এবং বাংলাদেশের নাগরিক হইবে। কোন শত্রু দেশের নাগরিক অথবা আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত ব্যাক্তি অথবা মাতাল ও নেশাগ্রস্ত হইয়া হিতাহিত জ্ঞানশূণ্য অবস্থায় দলিল সম্পাদন করিয়া দিলে তাহা বাতিল হিসাবে গণ্য হবে।
জমির মালিকানা প্রমাণের অন্যতম একটি ডকুমেন্ট খতিয়ান। সরকারী এ রেকর্ড জমির দালিলিক দখল এর প্রমান হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ। সাধারনত জেলা প্রশাসকের অফিস হতে খতিয়ান সংগ্রহ করতে হয়। তবে, এ পদ্ধতিতে বেশ ঝামেলা ও সময় অপচয় হয়। সরকারের অনলাইন কর্মসূচীতে তাই খতিয়ান প্রাপ্তি সেবাকে অনলাইনে রূপ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে খুব সহজে ঘরে বসেই অনলাইনে খতিয়ান চেক করতে পারবেন। প্রয়োজনে তা ডাউনলোড করে বা প্রিন্ট করে সংগ্রহে রাখতে পারবেন।
আজকাল টাকার বদলে প্লাস্টিক অর্থাৎ  ATM কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড হয়ে উঠেছে মানুষের অতি প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। কিন্তু রাস্তাঘাটে যদি ছিনতাই বা চুরি হয় অথবা যদি বেখেয়ালে হারিয়ে ফেলেন এই কার্ড, তাহলে কী করবেন? ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড চুরি হয়ে গেছে বা হ্যাক হয়ে গেছে নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করুন ব্যাংক এবং ক্রেডিট কার্ড দাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
বাংলাদেশে যৌথ উদ্যোগে স্থাবর সম্পত্তির উন্নয়ন, ক্রয়ি-বিক্রয়, নির্মাণ ও রক্ষনাবেক্ষন এর জন্য রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ নামে একটি আইন আছে। এতে রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার নিবন্ধন, ডেভেলপারের দায়-দায়িত্ব, ভূমির মালিক কর্তৃক রিয়েল এস্টেট নির্মাণ, রিয়েল এস্টেট ক্রয়-বিক্রয়ের শর্তাবলী, হস্তান্তর দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রেশন করা, ভূমি মালিক ও ডেভেলপারের মধ্যে চুক্তি, রিয়েল এস্টেট এর সুবিধাদি, রিয়েল এস্টেট এর মূল্য পরিশোধের নিয়মাবলী, রিয়েল এস্টেট এর সেবাসমূহ, ক্রেতা কর্তৃক এককালীন মূল্য বা কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থতা