Power of attorney Bangladesh

+8801929125100

এইচ. এস. সি পরীক্ষার পর যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন নিবেন অথবা সাবজেক্ট পরিবর্তন করার কথা ভাবছেন, কিংবা সন্তান কে ভার্সিটিতে ভর্তি করাতে সাবজেক্ট চয়েজ নিয়ে দু:শ্চিন্তায় আছেন, আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আইন বিষয়ে পড়ার ভবিষ্যৎ সম্ভবনা, আইন বিষয়ে পড়ে কোন কোন ফিল্ডে ক্যারিয়ার গড়া যায়, কি কি চাকরীর সুযোগ রয়েছে এবং টেকনিক্যাল সাবজেক্ট হিসাবে কেন আইন সব বিষয়ের চেয়ে আলাদা। এ সব বিষয়ে ধারনা পাবেন এই লেখা থেকে। সর্ম্পূণ লেখাটি পড়ে আপনি অবাক হবেন, বাংলাদেশের ক্যারিয়ারে আইন বিষয়ের দাপুটে কর্মক্ষেত্র দেখে।
আমাদের দেশে সরকারী বা বে-সরকারী বিভিন্ন চাকুরী, পাসপোর্ট এর আবেদন কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে ছবি এবং সকল কাগজ পত্রের সত্যায়িত কপি (Attested Copy) চাওয়া হয়। সত্যায়নকারী আর সত্যায়ন প্রার্থী উভয়ের জন্য এটি একটি বিরক্তিকর এবং অপ্রয়োজনীয় কাজ বলে মনে হয়। সত্যয়নের এই পদ্ধতি মানুষকে হাতে ধরে চুরি শেখানোর মত। কারন বিপদে পড়ে মানুষ অনেক সময় অন্যায় করে, মিথ্যার আশ্রয় নেয়। এমনি একটি ব্যপার এটি।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করেছেন মিনা। মিনার মত আরো লাখ খানেক ছাত্র-ছাত্রীর স্বপ্নের চাকুরী এটি। লাখো পরিক্ষার্থীর কম্পিটিশনে নিজের মেধা ও যোগ্যতা প্রমাণের আত্ববিশ্বাস মিনার নেই। যদি এমন হয় যে, অতি মেধাবী কেউ মিনার পরিক্ষাটা দিয়ে তাকে পাশ করিয়ে দেয়? জ্বী, আমাদের দেশে এমন স্বপ্ন মোটেই অবাস্তব নয়। আইনের ভাষায় প্রক্সি বলতে কোন অপরাধের নাম নেই। আইন অতি চালাক তাই প্রক্সির নাম দিয়েছে Personation কারন প্রক্সির চেয়ে এর কাভারেজ আরো ব্যাপক। সরকারী পরীক্ষা (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এর ৩ ধারা মতে কথিত প্রক্সির সংঙ্গা হচ্ছে- "পরীক্ষার্থী না হইয়াও যিনি সরকারী পরীক্ষার সময় নিজেকে একজন পরীক্ষার্থী হিসাবে ঘোষণা বা বিবেচনা করিয়া পরীক্ষা হলে প্রবেশ করেন ।"
বর্তমানে, সরকারী, আধা-সরকারী সহ বিভিন্ন ব্যাংকের চাকুরিতে চূড়ান্ত নিয়োগের পূর্বে শক্ত-পোক্ত পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়। কোন কোন সরকারী চাকুরীতে ৩ স্তর বিশিষ্ট ভেরিফিকেশন করা হয় পুলিশ, এসবি এবং এনএসআই এর স্বমন্বয়ে। দূর্ভাগ্য বশতঃ আপনি যদি কোন ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত হয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে হাতে পেয়েও হাত ছাড়া হতে পারে চাকুরী নামের সোনার হরিণ। তবে, মামলা থাকলেই চাকুরী হবেনা এটা একটা ভুল ধারনা। চাকুরীতে প্রবেশে মামলা কোন বাধা কিনা সেটা প্রথমত মামলার ধরনের উপর নির্ভর করে।
জামানত বা নির্দিষ্ট মেয়াদে চাকুরীর শর্তে নিয়োগ দেয়া বৈধ কিনা? বন্ড, স্ট্যাম্প অথবা সনদপত্র জব্দ করে চাকরি করানো কি আইন সম্মত? ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে ৩/৫ বছর চাকুরী করার শর্তে নিয়োগ আইনগত ভাবে অবৈধ ? চাকুরী ছাড়লে কি ঝামেলা হবে? দেশী এবং আন্তজার্তিক আইনের বিধান বন্ড বা চুক্তিপত্র দিয়ে কি কোম্পানী মামলা করতে পারবে? কারো চেক বা সার্টিফিকেট আটকে রাখালে কি করবেন ? যদি চুক্তি সই করা লাগে, কি ধরনের সচেতনা অবলম্বন করবো ? বিনিয়োগ চুক্তির টাকা কি ফেরত দিতে হবে? প্রতিষ্ঠান মামলা করতে পরবর্তী চাকুরীতে অসুবিধা হবে কিনা?