অনেক রাত! হটাৎ দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। দরজা খোলার সাথে সাথেআইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকে একদল লোক আপনাকে বা আপনার পরিবারের কাউকে গ্রেফতার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে-
অনেক সময় দেখা যায় যে, দুই পক্ষের পরিবার বিয়েতে সম্মত থাকার পরও আইনে মোতাবেক বয়স না হওয়ায় বিয়ে সম্পন্ন করা যায় না। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলেই বিয়ে নিষিদ্ধ ব্যাপারটা আসলে এমন নয়। ২০১৭ সালে আমাদের দেশে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন তৈরি হয়। উক্ত আইনের ১৯ ধারায় অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিয়ের বিশেষ নিয়ম যুক্ত করা হয়।
জন্ম নিবন্ধন সকলের জন্য ব্যধ্যতামূলক (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ ;ধারা ৫(১), ৬ক এবং ৮(১)) । এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে জন্ম সনদ আবশ্যক। আবার মৃত্য সনদ করতেও জন্ম সনদ আবশ্যক। মনে রাখবেন মৃত্যু নিবন্ধন না করলে উত্তরাধিকার বন্টনে ঝামেলা হয়। জমজ সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রথমে একের পর এক আবেদন করে অনলাইনে সাবমিট করতে হবে তারপর যথাযথ নিয়মে নিবন্ধন করতে হবে । একটি নিবন্ধন সমাপ্ত করে ফেললে অপর আবেদনটি অনলাইনে সাবমিট করতে সমস্যা হবে।
পিতা/মাতার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর এসএসসি, এইচএসসি বা সমমান সনদপত্র (যদি উহাতে পিতা/মাতার নাম উল্লিখিত থাকে) এবং জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পিতা, মাতা, ভাই ও বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
বন্টনকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত (বৃহত্তম এক পক্ষের অংশের মূল্য বাদ দিয়ে) হিসাব করে
(ক)মোট মূল্য অনুর্ধ ৩ লক্ষ টাকা হলে ৫০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮বি (১) অনুসারে)।
(খ) মোট মূল্য অনুর্ধ ১০ লক্ষ টাকা হলে ৭০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮বি (২) অনুসারে)। (গ) মোট মূল্য অনুর্ধ ৩০ লক্ষ টাকা হলে ১২০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮বি (৩) অনুসারে)।
পুরুষ হিসাবে উত্তরাধিকারসূত্রে শুধু মা-বাবার সম্পদ থেকেই অংশ পায়। অপরদিকে একজন নারী সন্তান হিসেবে মা-বাবার কাছ থেকে, এবং বিয়ের পর স্বামী মারা গেলে স্ত্রী হিসেবে স্বামীর কাছ থেকে, মা হিসেবে সন্তানের কাছ থেকে সম্পত্তির অংশ পায়। নারীদের ওয়ারিশান সব দিক বিবেচনা করলে নারীরা একজন পুরুষের চেয়ে বেশী সম্পত্তির উত্তারাধিকার হয়। মুসলিম আইনে নারীদের সম্পত্তির যে অধিকার রয়েছে তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হলে কোনো নারী উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে বঞ্চিত হবে না। আমাদের দেশে বেশির ভাগ মুসলিম নারী আইন অনুযায়ী প্রাপ্য অধিকার পায় না। এতে স্বামী মারা গেলে বা বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তাদের অনেক কষ্ট ভোগ করতে হয়।
দেনমোহরের সাথে তালাকের কোন সম্পর্ক নেই। দেনমোহরের সম্পর্ক বিবাহের সাথে। বিবাহ সম্পন্ন হবার পর পরই বরের নিকট স্ত্রীর দেনমোহর পাওনা হয়ে যায়। পরবর্তীতে, যে কোন পক্ষ বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করলে ও বউয়ের দেনমোহরের পাওনা অবশ্যই শোধ করতে হবে। আমাদের দেশে একটি ভুল ধারনা প্রচলিত আছে যে, বউ যদি তালাক প্রদান করে তাহলে দেনমোহর পরিশোধ করা লাগেনা। অনেকে জেনে বলে আবার অনেকে না জেনেই এমন সিদ্ধান্ত দিয়ে দেয়। মূলত দেনমোহরের বিষয়টি ইসলামী আইনেই নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে।