Power of attorney Bangladesh

+8801929125100

আইন পড়লে কি কি হওয়া যায় ?

আইন বিষয়ের ক্যারিয়ার সম্ভবনা ।। কেন পড়বো আইন?

এইচ. এস. সি পরীক্ষার পর যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন নিবেন অথবা সাবজেক্ট পরিবর্তন করার কথা ভাবছেন, কিংবা সন্তান কে ভার্সিটিতে ভর্তি করাতে সাবজেক্ট চয়েজ নিয়ে দু:শ্চিন্তায় আছেন, আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য।

আইন বিষয়ে পড়ার ভবিষ্যৎ সম্ভবনা, আইন বিষয়ে পড়ে কোন কোন ফিল্ডে ক্যারিয়ার গড়া যায়, কি কি চাকরীর সুযোগ রয়েছে এবং টেকনিক্যাল সাবজেক্ট হিসাবে কেন আইন সব বিষয়ের চেয়ে আলাদা। এ সব বিষয়ে ধারনা পাবেন এই লেখা থেকে। সর্ম্পূণ লেখাটি পড়ে আপনি অবাক হবেন, বাংলাদেশের ক্যারিয়ারে আইন বিষয়ের দাপুটে কর্মক্ষেত্র দেখে।

আইন পড়লে কি কি হওয়া যায় ?

কেউ এই প্রশ্ন করলে উত্তরের বদলে পাল্টা প্রশ্ন হবে- ‘আইন পড়ে কী হওয়া যাবে না? বাংলাদেশে আইনের শিক্ষার্থীদেরকে পরিবারে ও সমাজে অবধারিতভাবে যে অনিবার্য প্রশ্নটির সম্মুখীন হতে হয় তা হচ্ছে- ‘Law পড়বি কি Liar হওয়ার জন্য?’
অর্থাৎ বেশিরভাগ মানুষ ধরেই নেয়- ‘ল’ পড়ে ‘লইয়ার’ বা তাঁদের ভাষায় লাইয়ার (মিথ্যাবাদি) হওয়া ছাড়া আর বুঝি কোন গত্যন্তর নাই। কিন্তু তাঁরা আসলে জানে না আইন পড়া একজন শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার পরিধি কতোটা বিস্তৃত ও বৈচিত্র্যময় !

আইন পাশ করে আইন সংশ্লিষ্ট বা আইন বহির্ভূত সব কিছুই আপনি হতে পারবেন। আইন পড়ে কেউ আইনজীবী হতে না চাইলেও তাঁর জন্য সরকারি- বেসরকারি চাকুরির দুনিয়া খোলা। আইন পড়ার আরেকটি মজার বিষয় হল- আপনি স্বাস্থ্য, প্রোকৌশল, আইটি সহ সকল সেক্টরে কাজ করার সুযোগ পাবেন। ছোট-বড় সব ধরনের কোম্পানীতেই লিগ্যাল সেক্টরে চাকুরী বা পরামর্শক হিসাবে আইনের ছাত্ররা ক্যারিয়ার গড়তে পারে।


১/ বিজেএস ক্যাডার (জজ বা ম্যাজিস্ট্রেট)

বিজেএস পরিক্ষা বিসিএস এর মতোই। ২০০৭ সালে বিচার বিভাগ স্বাধীন হওয়ায় বর্তমানে জজ বা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ হয় বিজেএস বা ‘বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন’ এর মাধ্যমে। বিসিএস ক্যাডারের তুলনায় বিজেএস ক্যাডারদের বেতন, ক্ষমতা ও অন্যন সুবিধা প্রায় ৩০% বেশী। এই পদে নিয়োগ লাভের সুযোগ শুধুই আইনের গ্রাজুয়েটদের জন্য সংরক্ষিত।

২/ বিসিএস ক্যাডার

আইন থেকে পাশ করে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের মতোই আপনারা বিসিএস এর সমস্ত ক্যাডার যেমন- ফরেন সার্ভিস, প্রশাসন, পুলিশ, কাস্টম, আনসার ইত্যাদি সব নন- ট্যাকনিক্যাল ক্যাডারে একজন র্ফাস্ট ক্লাস গেজেটেড অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। আইন থেকে পাশ করে বিসিএস এর বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ লাভের উদাহরণ ভুরিভুরি। এক মাত্র আইন পড়লেই বিসিএস ও বিজেএস দুটি ক্যাডার পরীক্ষায় একত্রে অংশ নেয়া সম্ভব!

৩/ শিক্ষকতা

ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকলে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে আইনের শিক্ষক হিসেবে উচ্চ বেতনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পায়। আইনের ভালো ফলধারীর জন্য বিকল্প অজস্র ক্যারিয়ার সম্ভাবনার কারনে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে উপযুক্ত শিক্ষক সংকট লেগেই থাকে। এই সেক্টরে চাহিদা এমনই বেশি যে অনার্সে ভালো ফল থাকলে মাস্টার্সের রেজাল্ট প্রকাশ হওয়ার আগেই অনেক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি আইনের যোগ্য প্রার্থীকে ‘অগ্রীম এপয়েন্টমেন্ট লেটার’ দিয়ে বুকড করে রাখে!

৫/ সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী

একজন আইনের শিক্ষার্থী সামরিক বাহিনীতে লেফটেন্যান্ট, সাব লেফটেন্যান্ট, ফ্লাইং অফিসার হয়ে কমিশন্ড অফিসারের পদমর্যাদায় সেনা, নৌ কিংবা বিমানবাহিনীতে ‘জাজ- এডভোকেট জেনারেল’ (JAG Core) কোরে যোগ দিতে পারেন। সামরিক আইন-আদালত ও সামরিক বিচার নিয়ে এদের কাজ কর্ম। এই সুযোগটাও শুধু আইনের শিক্ষার্থীদের !

৬/ ব্যাংক, বীমা, কোম্পানি, শিল্প ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান

বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি বা অন্যান্য বিষয়ের মতো আইন থেকে পাশ করেও যে কেউ ব্যাংক, বীমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে যোগ দিতে পারে। বাংলাদেশে বর্তমানে এমন ব্যাংক, বীমা, কোম্পানি, শিল্প ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নাই যেখানে ‘লিগ্যাল ডিভিশান’ নাই। ব্যাংকিং, কোম্পানি ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে সাধারণ অফিসার হিসেবে আবেদনের পাশাপাশি আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ লাভের এক্সট্রা সুযোগ শুধু আইনের ডিগ্রিধারীদের জন্যই সংরক্ষিত !

বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘সহকারী পরিচালক (জেনারেল সাইড)’ পদে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে আবেদনের পাশাপাশি আইনের ডিগ্রিধারীরা ‘সহকারী পরিচালক (লিগ্যাল সাইড) পদে নিয়োগ লাভের আলাদা সুযোগ পায়। এ সমস্ত প্রতিষ্ঠান আবার অভিজ্ঞ ও দক্ষ প্র্যাকটিসিং লইয়ারদের কে ‘প্যানেল আইনজীবী’ হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ও দিয়ে থাকে। এটি আইনজীবীদের জন্য আরেকটি বাড়তি সুযোগ। বেশীর ভাগ আইনজীবীই ঢাকা মূখী হওয়ার অন্যতম একটি বড় কারন বিভিন্ন কোম্পানীতে রিটেনার বা প্যানেল আইনজীবী হওয়ার সুযোগ থাকা।

৭/ ন্যাশনাল ও মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি

দেশীয় ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, হিউম্যান রিসোর্স ইত্যাদি জেনারেল সাইডের বিভাগে অন্যান্য বিষয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে আইনের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে। এছাড়া, সব কোম্পানিতেই আলাদা ‘কর্পোরেট লিগ্যাল অ্যফেয়ার্স’ বিভাগ আছে। আর যেখানেই লিগ্যান ডিভিশান সেখানেই ‘ল’ ডিগ্রিধারী প্রার্থীর চাহিদা। আর এসব পদে নিয়োগ লাভ শুধুই আইনের জন্য সংরক্ষিত !

এছাড়া আইনের একজন স্নাতক যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Human Resource Management কে মেজর নিয়ে এমবিএ ডিগ্রি নিতে পারেন। অথবা নিদেনপক্ষে Post Graduate Diploma in Human Resource Management (PGD in HRM) এই ডিপ্লোমা ডিগ্রি নিতে পারলে দেশের শীর্ষ স্থানীয় কর্পোরেট হাউস, ব্যাংক, অন্যান্য কোম্পানী কিংবা গার্মেন্টেস সেক্টরে ‘হিউম্যান রিসোর্স অফিসার’ হিসেবে যোগ দেওয়ার বিরাট সুযোগ রয়েছে কারন ল ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট খুব ঘনিষ্ট সম্পর্কিত। কোন কোম্পানি যদি এই দুই বিষয়ে একই সাথে ডিগ্রিধারী যোগ্য কোন প্রার্থীকে পায় তাহলে দুই বিভাগে আলাদা দু’জন লোক নিয়োগের বিলাসিতার বদলে একজনকেই নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবে- এবং বুঝতেই পারছেন সেটি আপনিই !

৮/ রিয়েল এস্টেট কোম্পানি

জায়গা জমি, এপার্টমেন্ট, ফ্ল্যাট আর চুক্তিনামা ও চুক্তিভঙ্গ নিয়েই যেহেতু এদের কাজ- কাজবার তাই সেখানে গ্যাঞ্জাম আর বিরোধের সমূহ সম্ভাবনা। যেখানেই বিরোধ সেখানেই আইন। যেখানেই আইন সেখানেই আইনের ডিগ্রিধারী কর্মকর্তা দরকার। তাই দেশের রিয়েল এস্টেট বিজনেস কোম্পানিগুলোতে ‘আইন কর্মকর্তা’ হিসেবে আইনের ডিগ্রিধারীদের দরজা সংরক্ষিত।

৯/ সরকারি বেসরকারি এনজিও, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও মানবাধিকার সংস্থা

এসব সংস্থার যে কোন ডিভিশনে অন্যান্য বিষয়ের ডিগ্রিধারীদের সাথে কাজ করার সুযোগের পাশাপাশি একজন আইনের শিক্ষার্থীর সুযোগ আছে এসব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার ‘ল ডিভিশন’ এ নিয়োগ পাওয়ার। আবার অনেকগুলো এনজিও ও মানবাধিকার সংস্থা আছে যাদের মূল কাজটাই হচ্ছে আইনগত সহায়তা নিয়ে। যেমনঃ আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বেলা, ব্লাস্ট, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি, ব্র্যাক ইত্যাদি। যেখানেই আইন নিয়ে কাজ সেখানেই আইনের ডিগ্রিধারী চাই। আইন ভিন্ন আর কারো সুযোগ নাই !

১০/ আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিদেশী দূতাবাস

আইনের ডিগ্রিধারীদের জন্য জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা যেমন UNHCR, UNDP, WHO, Save the Children, IOM, ILO ইত্যাদিতে আছে আইন সংশ্লিষ্ট নানান কাজের সুযোগ। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশী দূতাবাসগুলোতেও ‘আইন কর্মকর্তা’ হিসেবে নিয়োগের সুযোগ আইনের ডিগ্রিধারীদের জন্য সংরক্ষিত আছে।

১১/ সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত কমিশন ও প্রতিষ্ঠান

দুদক, নির্বাচন কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, ওয়াসা, পিডিবি, পেট্রো বাংলা, বাপেক্স সহ প্রায় সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত কমিশন ও প্রতিষ্ঠানে আইন কর্মকর্তা ও প্যানেল আইনজীবী হিসেবে আইনের ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ লাভের অবারিত সুযোগ আছে।

১২/ গার্মেন্টস অডিট ও কমপ্লায়েন্স

গার্মেন্টস খাতের সাথে শ্রম আইন, নিরাপত্তা ও শ্রমিক অধিকারের বিষয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত। গার্মেন্টস কোম্পানি ও বাইয়িং হাউজগুলো এসব বিষয় অনুপুঙ্খভাবে নজরদারি করার জন্য অডিটর ও কমপ্লায়েন্স ডিভিশনে আইনের ডিগ্রিধারীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। একই সাথে আইন জানে আবার কমপ্লায়েন্স ও অডিটিং ডিগ্রিও আছে- এমন প্রার্থী কোম্পানি হাতছাড়া করতে চায় না।

১৩/ রাজনীতী/ পলিটিক্স

পলিটিক্সে আইনের ছাত্রদের জন্য থাকে বিশেষ সুযোগ। এক সময় আমাদের সংসদের ৮০ ভাগের বেশী সিট দখলে ছিল আইনজীবীদের। এখনো আছে, তবে রাজনীতীর সেকাল এখন স্বপ্ন। আইনের ছাত্র হলেই আপনার জন্য আইন বিষয়ক সম্পাদকের আসন বরাদ্ধ! বাঘা-বাঘা নেতা-নেত্রীদের সাথে কাজ করা এবং সু-সম্পর্ক তৈরি করার সুযোগ পাবেন আইনপেশায়। আলাদা একটা গুরুত্ব পাবেন রাজনৈতিক পরিমন্ডলে। পুলিশ-প্রসাশন সর্বস্তরে মযার্দা পাবেন পেশার খাতিরে। রাষ্ট্রের ভিতর-বাহির সব বিষয়ে চৌকস জ্ঞান পাবেন। আইনে পড়া মেয়ারা সাহসে, সর্তকতায় ও ব্যাক্তিত্বে অন্য ডিপার্টমেন্টের চেয়ে অনন্য হয়। আমাদের সমাজে যেটা এই মূহূর্তে খুব প্রয়োজন।

১৪/ আইনজীবী

আইন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি অথচ আইনজীবী হওয়ার কথা সবার শেষে বলছি। কfরন একটাই, যারা ভাবেন আইন পড়লে শুধু আইনজীবী হওয়া যায় তাদের দেখাতে চেয়েছি আইনজীবী না হলেও কত অপশন আছে।

বেশিরভাগ আইনের ডিগ্রিধারীর প্রথম স্বপ্নই থাকে একজন আইনজীবী হবে। কিন্তু আইনজীবী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ায় অনেক চ্যালেঞ্জ থাকায় এবং চোখের সামনে এতো এতো নগদ অপশন থাকায় বেশিরভাগ আইনের শিক্ষার্থীই কিন্তু প্র্যাকটিসিং ল’ইয়ার হয়না।

আইনজীবী হিসাবে ক্যারিয়ার গড়লে লিস্টে যা কিছু বলেছি তার চেয়ে ঢের বেশি কিছু আপনি করতে পারবেন- যশ, সম্মান, প্রতিপত্তি ও অর্থ- সবই অর্জন করতে পারবেন। আইন পেশাকে লটারী পেশাও বলে। ভাগ্য ভাল থাকলে এক ডিলেই জীবনের মোড় পাল্টে যেতে পারে। স্বাধীন পেশায় থাকবেনা বসের চাপ, প্রতিদিন টাইম মেনে অফিস করার বাধ্যবাধকতা, ছুটি না পাওয়ার আক্ষেপ কিংবা অথরিটির চাপে অনৈতিক-অবৈধ কাজ করার অশান্তি।

অনেকেই বলে আইনজীবী হারাম খায়, সত্যকে-মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বানায়। কথা সত্য, কিন্তুু সবাই না, গুটিকতেক লোকজন। অন্য পেশার চেয়ে আইনে পেশায় সততা ও আদর্শ রক্ষা করার সুযোগ বেশী। তবে, লোভে পড়ে অনেকে নিজের নৈতিকতা বিসর্জন দেয়। আসল কথা হল, আপনি হারাম খাবেন না হারাম খাবেন সেটা আপনার ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত।

আইন পেশায় আপনি পাবেন বৈচিত্রময় কর্মক্ষেত্র। কাজের প্রতি একগেয়েমি বা অনীহা এই পেশায় নেই। নিন্ম আদালতে মামলা পরিচালনা, পরবর্তীতে হাইকোর্ট বিভাগে ও আপীল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া যায়, পাবলিক প্রসিকিউটর, এটর্নী জেনারেল, বার কাউন্সিলে নেতৃত্ব, হাইকোর্টের বিচারপতি এমন কি প্রধান বিচারপতির আসনের বসতে পারেন ভাগ্য সায় দিলে।

পারিবারিক, দেওয়ানি, ফৌজদারি, রিট করা ছাড়াও আপনি চাইলে হতে পারেন ‘ইনকাম ট্যাক্স প্র্যাকটিশনার’। হতে পারেন ‘কর্পোরেট লইয়ার’ অর্থাৎ, কন্ট্রাক্ট ল, কম্পানি রেজিস্ট্রেশন, ট্রেড লাইসেন্স, সিকিউরিটি ল, দেউলিয়া আইন, মেধাস্বত্ব- ট্রেডমার্কস- পেটেন্ট নিয়ে ল প্র্যাকটিস করতে পারেন।

অবারিত সুযোগ আছে পরিবেশ আইনজীবী ও এডমিরাল্টি লইয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার। অ্যাডভোকেট হয়েও যাদের আইন নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছা, কিন্তু কোর্টে যেতে অনীহা তাঁরা চাইলেই বিভিন্ন ল ফার্মে ‘In house Lawyer’ হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির ডকুমেন্টেশন প্রস্তুত, লিগ্যাল অ্যাডভাইস দেওয়া, ফাইল তৈরি, মামলার ড্রাফট তৈরির কাজ করতে পারেন। এর বাইরেও বিশেষ যোগ্যতা থাকলে হতে পারেন সাইবার ক্রাইম, ইমিগ্রেশন, স্পোর্টস ও মিডিয়া আইনজীবী। স্পেশালাইজড হিসাবে দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পেতে পারেন কাজের সুযোগ।

সবচেয়ে বড় বিষয় হল, যে লোক আইন পড়েছে এবং নূন্যতম চেষ্টা করছে তাঁর ক্যারিয়ার থেমে থাকার সুযোগ নাই। আইনের ডিগ্রি নিয়ে কেউ বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে- এটি প্রায় অবিশ্বাস্য ব্যাপার। অনার্স শেষ হবার পরের দিন থেকেই জুনিয়র আইনজীবী হিসাবে ক্যারিয়ার ও ইনকাম দুটোই শুরু করে দিতে পারবেন।

আইন পেশা নিয়ে যারা নেগেটিভ মন্তব্য করে তারা আসলে আগা-গোড়া না জেনেই বলে। কোন পেশাকে বুঝতে হলে ঐ সমাজের সফল ও জ্ঞানী মানুষদের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া উচিৎ। ব্যার্থরা কেবল নেগেটিভ ফিডব্যাক দিবে। ঠিক যেমন নাস্তিকরা কোরআনের সীমাবদ্ধতা খুঁজে।

আসলে এতো কথা বলে লাভ কী? পৃথিবী যতোদিন টিকে থাকবে- মানুষ বাড়বে, জমি কমবে, সম্পর্কগুলো জটিলতর হবে, মানুষে মানুষে গ্যাঞ্জাম লাগবে। জানেন তো, যেখানেই গ্যাঞ্জাম সেখানেই আইনের প্রয়োগ, আর যেখানেই আইনের প্রয়োগ- সেখানেই আইনের ডিগ্রিধারী !

তাই আইন পড়া জীবন- আসলেই একটা আলাদা জীবন। যে জীবন সবাই পায় না…!

Consult with our Specialist Lawyer

ADV Matin Sarkaer Mishuk

Phone- 01753173459

Mail – [email protected]

AIN BISHAROD– (A Legist Law Firm)

Facebook
Twitter
LinkedIn

সাম্প্রতিক পোস্ট

ভাড়া চুক্তিপত্র

দোকান / বাণিজ্যিক স্পেস ভাড়া চুক্তিপত্র নমুনা

বাড়ি ভাড়া বা দোকান ভাড়া দেয়া-নেয়ার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের মধ্যে সু-নির্দিষ্ট চুক্তি থাকা আবশ্যক। উক্ত চুক্তি পত্রে উভয়ৈর দ্বায়িত্ব – কর্তব্য এবং আর্থিক লেনদেনর বিষয় উল্লেখ থাকতে হয়। চুক্তি মেয়াদ শুরু, চুক্তি মেয়াদ শেষ এবং উপ-ভাড়াটিয়া নিয়োগ ও সার্ভিস চার্জ প্রদানের মতো সুক্ষ বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে দু-পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে নিতে হয়। ভাড়া চুক্তির মধ্যে এসব বিষয় উল্লেখ না থাকে ভাড়া দাতা এবং ভাড়াটিয়া দুজনের মধ্যে ভবিষ্যতে বিভিন্ন ঝামেলার সৃষ্টি হয়। একটি আদর্শ ভাড়া চুক্তির নমুনা এখানে দেয়া হল আমাদের পাঠকদের বুঝার সুবিধার্থে।

Read More »
দেনমোহর আদায়

দেনমোহর আদায় করবেন কিভাবে ?

আমাদের সমাজে দেখা যায় বিয়েতে দেনমোহর নগদ পরিশোধের ব্যাপারটি সরাসরি উপেক্ষা করা হয়। হাতে গোনা কয়েকটা বিয়ে ছাড়া নগদ দেনমোহর আদায় এর উদাহরন খুব কম। অনেকে আবার দেনমোহর দেয়া দূরের কথা বিয়েতে দেয়া বিভিন্ন উপহার কে উসূল দেখিয়ে দেনমোহরের সাথে স্বমন্বয় করে নেয়। বিয়ের পর বক্রী দোনমোহরের অর্থ নিজ তাগিদে কোন স্বামী পরিশোধ করেন না ফলে স্ত্রী তাহার দেনমোহরের পাওনা হতে আজীবন বঞ্চিত থাকেন।

Read More »

নামজারী আবেদন নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া

কামাল দুই বিঘা জমির মালিক এবং সে নিয়মিত সরকারী খাজনা পরিশোধ করে থাকে। সরকারী অফিসে লেখা আছে যে, কাওলা মৌজার আরএস ৫১০ দাগের ২ বিঘা জমির মালিক কামাল। পরবর্তীতে, কামাল উক্ত জমি রহমত এর নিকট বিক্রী করে। যেহেতু বর্তমানে রহমত মালিক কাজেই কামালের নাম কেটে রহমতের নাম সরকারী কাগজপত্রে লিপিবদ্ধ করাই মূলত নামজারী ।

Read More »

Recent