+8801929125100

বিদেশ থেকে আম-মোক্তার নামা দলিলের মাধ্যমে প্রতিনিধি নিযুক্ত করে তালাক প্রদানের যথাযর্থতা সম্পর্কে আইনে সুনির্দিষ্ট কোন বক্তব্য নেই। প্রচলিত প্রাকটিস এবং আইনজীবীদের পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই আম-মোক্তারনামা মূলে তালাকের একটা প্রচলন আছে। তবে এ ধরনের তালাক বহুল বিতর্কীত কারন তালাক সংশ্লিস্ট আইনের কিছু বিধান প্রকৃত অর্থে চর্চা করার সুযোগ থাকেনা।
তালাক দিলেই সাথে সাথে সেই তালাক কারযকর হয় না। মুসলিম শরীয়া আইন এবং পারিবারিক আইনের বিধান মতে তালাক দিবার ৯০ দিন পর সেই তালাক কার্যকর হবে। ৯০ দিনের এই সময়কে ইদ্দতকালীন পিরিয়ড বলা হয়। তালাক দেবার পর তালাক দাতা যদি মনে করে তার সিদ্ধান্ত ভূল এবং সে এই তালাক বাতিল করতে চায় তাহলে তালাক গ্রহীতার নিকট লিখিত নোটিশ দিয়া তালাক প্রত্যাহারের বিষয়টি জানাতে হবে।
আজ কোর্টে সীমা আর রাজীবে বিয়ে। বন্ধুরা সবাই মিলে বিয়ের সব ব্যাবস্থা করেছে। বিয়ে হবে জজ কোর্টে। রাজীবের এক স্কুল বন্ধু জজ কোর্টের আইনজীবী, তার নাম সিদ্দিক। সিদ্দিক সাহেবের সাথে কথা বলে বিয়ের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে রাজীব।
শখের বশে বা খামখেয়ালী থেকে কেউ তালাক দেওয়ার মত গর্হিত সিদ্ধান্ত নেয়না। সংসার জীবনে চলতে গেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন কুট-তর্ক, ভুল-বুঝাবুঝি এবং জটিলতা হতেই পারে। সাংসারিক সব জটিলতা যখন সহ্যসীমা বা আত্বমর্যাদাবোধ ছাপিয়ে যায় তখন শান্তির খোঁজে মানুষ তালাকের সিদ্ধান্ত নেয়।
যেহেতু আমি অত্র নোটিশ প্রেরক/দাত্রী এর সহিত ১নং নোটিশ গ্রহীতা বিগত ১১/০২/২০২০ ইং তারিখে পারিবারিক ভাবে ইসলামী শরা-শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবনে উভকে আল্লাহ তিন সস্তানের জনক/জননী হিসাবে কবুল করেছেন।
পালিয়ে বিয়ে করতে যেয়ে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে যেমন, মেয়ের পরিবার অপহরণ মামলা, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নারী নির্যাতনের মামলা, মেয়ের বয়স যদি ১৬ বৎসরের কম হয় তাহলে অপহরণ করে ধর্ষন সহ আর ও অসংখ্য মামলা, যার পরিণতি হতে পারে জীবনের সকল আশা আখাংকার সমাধি।
দেনমোহর হচ্ছে বিয়ে উপলক্ষে স্বামী কর্তৃক বাধ্যতামূলকভাবে স্ত্রীকে নগদ অর্থ, সোনা-রুপা বা স্থাবর সম্পত্তি দান করা। এটা প্রত্যেক স্বামীর উপর বাধ্যতামূলক। অনেকে মনে করেন এটা স্ত্রীর উপর স্বামীর দয়া বা করুনা কিন্তু এটা আসলে একজন স্ত্রীর অধিকার। এটা স্ত্রীর কাছে স্বামীর ঋণ এবং এটা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে এমন কি স্ত্রী দাবি না করলেও স্ত্রীকে উপযুক্ত দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে।
মুসলিম আইন অনুযায়ী, বাবাই অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আইনগত অভিভাবক, আর মা হচ্ছেন- সন্তানের জিম্মাদার। বিচ্ছেদ হলেও মা তার সন্তানের তত্ত্বাবধান করার ক্ষমতা হারান না। ছেলের ক্ষেত্রে সাত বছর বয়স পর্যন্ত এবং মেয়ে সন্তানের বয়ঃসন্ধি বয়স পর্যন্ত মা তাদের নিজের কাছে রাখতে পারবেন।
মাহাবুব তার স্ত্রীকে তালাক দিল। তিন মাস পর সে বুঝতে পারল যে, তালাক দেয়াটা তার ভুল হয়েছে এবং সে এখন হালিমাকে ভালবাসে খবর নিয়ে দেখা গেল হালিমাও মাহাবুব এর কাছে ফিরে আসতে চায়। এখন তারা যদি পুনরায় একসাথে বসবাস করতে চায় তাদের পুনরায় বিয়ে করতে হবে।
মুসলিম আইন অনুযায়ী একজন পূর্ণ বয়স্ক এবং সুস্থ মস্তিস্কের স্বামী যে কোন সময় কোনরূপ কারণ ব্যতিরেকেই তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারেন। বর্তমানে নারী ক্ষমতায়নের প্রভাব বিয়ের কাবিনে লাগায় নারীরাও সমান তালে যখন তখন তালাক দিতে পারে যদি কাবিনের ১৮ নং কলাম মতে ডিভোর্স প্রদানের ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়ে থাকে।