Power of attorney Bangladesh

+8801929125100

কামাল দুই বিঘা জমির মালিক এবং সে নিয়মিত সরকারী খাজনা পরিশোধ করে থাকে। সরকারী অফিসে লেখা আছে যে, কাওলা মৌজার আরএস ৫১০ দাগের ২ বিঘা জমির মালিক কামাল। পরবর্তীতে, কামাল উক্ত জমি রহমত এর নিকট বিক্রী করে। যেহেতু বর্তমানে রহমত মালিক কাজেই কামালের নাম কেটে রহমতের নাম সরকারী কাগজপত্রে লিপিবদ্ধ করাই মূলত নামজারী ।
বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব আদায়ের খাত সমূহের মধ্যে ভূমি উন্নয়ন কর একটি এবং এই খাত থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব সরকার আহরণ করে থাকে।  যেহেতু ভূমির মালিকানা ব্যাক্তি নামে হলেও এর প্রকৃত মালিক মূলত বাংলাদেশ সরকার কাজেই সে জমি ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে খাজনা প্রদান করতে হয়। 
কেউ যদি জিবিত অবস্থায় তাহার সম্পত্তি সম্পূর্ণভাবে কারো নামে লিখে দিতে চায় তাহলে দানপত্র দলিল এর মাধ্যমে সহজেই হেবা করে দিতে পারবে। আমাদের দেশে যা হেবা দলিল নামে অধিক পরিচিত। দান শব্দের আরবী প্রতিশব্দ হেবা। কোন অর্থ বা বিনিময় ছাড়া কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় যে দলিলের মাধ্যমে কোন সম্পত্তি হস্তান্তর করেন তাকে দানপত্র বলে।
চেকের মামলায় মহামাণ্য হাইকোর্ট ডিভিশান অতি সম্প্রতি একটি যুগান্তকারী রায় প্রদান করেছেন। রায়ে চেকে লেনদেন সংক্রান্ত কোন লিখিত ডকুমেন্ট বা দুই পক্ষের কনসিডারেশন কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কাজেই, চেকের লেনদেনের ক্ষেত্রে সম্ভব হলে স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তি করে নেয়া ভাল। তবে, চেকের মামলা করতে চুক্তি থাকতেই হবে এ ধারনা ভূল।
জমি বেচা-কেনা বা হস্তান্তর করা, জমির অনুকূলে ব্যাংক হইতে বন্ধক রেখে লোন উঠাতে গেলে বা সরকারী বন্দোবস্তের টাকা উঠাতে এমন কি জমিতে বিল্ডিং করার জন্য প্লান পাশ করাতে গেলেও এসব কাগজপত্র প্রয়োজন হয়।
আজ কোর্টে সীমা আর রাজীবে বিয়ে। বন্ধুরা সবাই মিলে বিয়ের সব ব্যাবস্থা করেছে। বিয়ে হবে জজ কোর্টে। রাজীবের এক স্কুল বন্ধু জজ কোর্টের আইনজীবী, তার নাম সিদ্দিক। সিদ্দিক সাহেবের সাথে কথা বলে বিয়ের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে রাজীব।
বাংলাদেশের বাহির হতে আমমোক্তার দলিল প্রদানের সরকারী নির্দেশনা গেজেট (বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ২৩, ২০১৫ তফসিল ক ফরম-৩) এর নির্দেশিকা
বাটোয়ারা দলিল বা বন্টন দলিল এর অভাবে জমি সংক্রান্ত সিংহ ভাগ ঝামেলার তৈরি হয়। আমাদের দেশে ভাই-ভাই অথবা ভাই-বোনদের মধ্যে বিরোধের অন্যতম কারন বাটোয়ারা দলিল ছাড়া সম্পত্তি বন্টন বা ভাগ করা।অতীতে লিখিত দলিলের ব্যবহার কম ছিল। মানুষ মুখে মুখে জমি-জমা বা সম্পত্তি বন্টন করে নিত। তখনকার দিনে দলিলের রেজিস্ট্রীও ইচ্ছামত ছিল কারন সে আমলে মানুষের জবানের মূল্যয়ন ছিল। মানুষের মুখের কথাই দলিলের মত ছিল। বর্তমানে, মানুষের জবান এবং বিশ্বাস দুটোই গায়েব হয়ে গেছে। সকালে এক কথা বললে বিকালেই অস্বীকার করে বসে। কাজেই, লিখিত দলিল ছাড়া কেই কারো উপর তেমন ভরসা করে না।
জাতীয় পরিচয়পত্র, সার্টিফিকেট বা পাসর্পোট এর নামে ভূল বা অমিল থাকলে ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে হলফনামা প্রদান করতে হয়। নাম পরিবর্তনের হলফনামা নমুনা কপি
আমরা অত্র অঙ্গিকার দাতাগণ বর্তমানে বর্নিত সম্পত্তি অত্র অঙ্গিকার নামায় উল্লেখিত অঙ্গিকার গ্রহীতাগণের নিকট অত্র সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য মনস্থির করিলে বর্তমানে আমাদের দখলে বর্নিত দলিলের মূলকপি না থাকায় আমাদের বিক্রয়ের স্বপক্ষে দালিলিক প্রমাণ প্রয়োজনবোধ করায় অত্র অঙ্গিকারনামা মূলে আমরা অত্র অঙ্গিকার দাতাগণ ঘোষনা করিতেছি যে, বর্নিত সম্পত্তি আমাদের নামে আম-মোক্তারনামা দলিল নং- ৩১৪২, তারিখ- ৩১/০৩/২০২১ মূলে খরিদকৃত।