+8801929125100

বাংলাদেশ পুলিশ এর বিস্তারিত ।। Bangladesh Police A-Z

বাংলাদেশ পুলিশ এর বিস্তারিত জানুন।। Details of Bangladesh Police A-Z

আইন বিশারদের এই লেখাটি বাংলাদেশ পুলিশের ৩৯ তম বহিরাগত ক্যাডেট (সাব-ইন্সপেক্টর) পদে নিয়োগের জন্য আগ্রহীদের উৎসর্গ করে প্রকাশিত।

বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস সরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অধিনস্ত একটি বে-সামরিক বাহিনী যা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ নানান কাজের মাধ্যমে দেশের সেবা করে যাচ্ছে।

সেবা মূলক লক্ষ্য নিয়ে জন্ম নেওয়াও পুলিশ ফোর্স এর বদল পুলিশ সার্ভিস নামে সম্মোধন করা হয় একে।

কিন্তুু মজার বিষয় হল বাংলাদেশে প্রতি ১১৩৩ জন নাগরিকের সেবায় মাত্র একজন পুলিশ রয়েছে।

পুলিশ বাহির সর্বাধিনায়ক হচ্ছেন মহা পুলিশ পরিদর্শক বা আইজিপি।

বর্তমানে এই আইজিপি পদটি অলংকৃত করে আছেন বেনজীর আহমেদ

ইতিহাস

বাংলাদেশে নাগরিকের সেবার জন্য পুলিশ বাহিনী নামে একটা সেবাদানকারী বাহিনী দরকার, এই চিন্তাটা সর্ব প্রথম যার মাথায় এসেছিলেন তার নাম স্যার রবার্ট পিল। রোমে সর্ব প্রথম পুলিশ বাহিনীর উদ্ভব হয়। ১৮২৯ সালে ব্রিটিশ সরকার পুলিশ বিল পাশ করে লন্ডন মেট্রো পুলিশ গঠন করে।

লন্ডন পুলিশের খ্যাতি সারা বিশ্বে আলোড়ন তুললে কিছু দিনের মধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্ব স্ব পুলিশ বাহিনী গঠনের ভিত রচিত হয়। ১৮৫৮ সালে ব্রিটিশরা এ ভূখন্ডের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ দখল করার পর ১৮৬১ সালে পুলিশ আইন পাশ করে এদেশে পুলিশ বাহিনি গঠন করে।

পরবর্তীতে দেশভাগের পর হতে মুক্তিযুদ্ধ পযর্ন্ত এই বাহিনী ইস্ট বেঙ্গল পুলিশ হিসাবে পরিচিত ছিল। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ পুলিশ নামে পুণঃপ্রাণ পেয়ে সর্বশেষ কুমিল্লার বাঙ্গুরা থানা উদ্বোধনের মাধ্যমে বর্তমানে সারাদেশে ৬৩৭ থানা, ২১ টি রেলওয়ে থানা, ১০ টি নৌ থানাসহ ১০ টি রেঞ্জ ১৫টির অধিক বিশেষায়িত শাখায় আনুমানিক ২ লক্ষ ৫ হাজার সদস্য নিয়ে “শান্তি-শৃঙ্খলা-প্রগতি”র অঙ্গিকার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী

বাংলাদেশে পুলিশ প্রশিক্ষণের একমাত্র একাডেমী রাজশাহীর সারদা উপজেলার চরঘাটায় ১৪৫.৬ একর জমির উপর অবস্থিত। এটি ১৯১২ সালে উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীর ১ম অধ্যক্ষ ছিলেন ব্রিটিশ আইন বিশারদ ও সামরিক অফিসার মেজর এইচ চ্যামেই।

পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার

বর্তমানে টাঙ্গাইল,খুলনা, নোয়াখালী ও রংপুরে একটি করে মোট ৪টি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে।

গোয়েন্দা প্রশিক্ষন স্কুল

১৯৬২ সালে ঢাকায় সর্ব প্রথম গোয়েন্দা প্রশিক্ষন স্কুল উদ্বোধন করা হয়।

বিভিন্ন ধরনের পুলিশ

(ক) রেঞ্জ পুলিশঃ

মেট্রো এলাকা ব্যাতীত সারাদেশকে মোট ১০ টি রেঞ্জে ভাগ করা হয়েছে। হাইওয়ে ও রেলওয়ে রেঞ্জ ব্যাতীত ৮ টি বিভাগীয় রেঞ্জ হচ্ছেঃ

১। ঢাকা রেঞ্জ

২। চট্রগ্রাম রেঞ্জ

৩। সিলেট রেঞ্জ

৪। রাজশাহী রেঞ্জ

৫। খুলনা রেঞ্জ

৬। বরিশাল রেঞ্জ

৭। রংপুর রেঞ্জ

৮। ময়মনসিংহ রেঞ্জ

(খ) মেট্রোপলিটন পুলিশ

রেঞ্জ পুলিশের মত মেট্রোপলিটন পুলিশেরও বর্তমানে মেট্রো এলাকা রয়েছে ৮ টি যেমনঃ

১। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ

২। চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ

৩। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ

৪। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ

৫। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ

৬। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ

৭। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ

৮। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ

পুলিশের পদ বিন্যাস

বড় থেকে ছোট আকারে সাজালে পুলিশের পদ বিন্যাস নিম্নরূপঃ

১. ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (IGP)

২. এডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (Add. IG)

৩. ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (DIG)

৪. এডিশনাল ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (Add. DIG)

৫. সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (SP)

৬. এডিশনাল সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (Add. SP)

৭. সিনিয়র এসিসট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (Senior ASP)

৮. এসিসট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (ASP)

৯. ইন্সপেক্টর

১০. সাব ইন্সপেক্টর (SI)

১১. সার্জেন্ট

১২. এসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর (ASI)

১৩. হেড কন্সটেবল/ হাবিলদার

১৪. নায়েক

১৫. কনস্টেবল

মেট্রোপলিটন এলাকায়

১. পুলিশ কমিশনার

২. অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার

৩. উপ পুলিশ কমিশনার

৪. অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার

৫. সহকারী পুলিশ কমিশনার (ASP সমমান)

পুলিশের অন্যন্য শাখা সমূহ

গতানুগতিকতা এড়িয়ে অধিক পেশাদারিত্ব ও সুনির্দিষ্ট কার্য্য সম্পাদনে পুলিশ বাহিনীকে কতগুলো বিশেষ শাখায় ভাগ করা হয়ে যেমনঃ

১। ডিবি- গোয়েন্দাবৃত্তির কাজে নিয়োজিত।

২। এসবি- জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দাগিরি করে।

৩। পিবিআই – আপরাধ তদন্ত করাই এদের প্রধান কাজ।

৪। সিআইডি- পুলিশের পেশাদার অপরাধ তদন্ত বিভাগ এটি।

৫।ট্রাফিক পুলিশ- মোটরযান আইন বাস্তবায়ন ও ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে কাজ করে।

৬। বিশেষ অস্ত্র ও কর্যপদ্ধিত (SWAT)- এটি পুলিশের সর্বাধুনিক অস্ত্র সজ্জিত ও প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ইউনিট বড় কোন জঙ্গী বা সন্ত্রাসী হামলা হলে দেখবেন, এরা কোথা থেকে এসে হাজির হয়।

৭। হাইওয়ে পুলিশ- মহাসড়কের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিগত ২০০৫ ইং সনে হাইওয়ে পুলিশের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশের ইস্টার্ন উইংয়ের এবং বগুড়ায় ওয়েষ্টার্ন উইংয়ের সদর দপ্তর রয়েছে।

৮। রেলওয়ে পুলিশ- চট্টগ্রাম ও সৈয়দপুরে অবস্থিত বাংলাদেশের দুটি রেলওয়ে জেলার স্বমন্বয়ে রেল সেবা সংশ্লিষ্টদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে রেল পুলিশ।

৯। শিল্পাঞ্চল পুলিশ- ২০০৬ সালের শ্রম আইন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ শিল্পাঞ্চল পুলিশের ৬টি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে সারা দেশে।

১০। আর্মড পুলিশ – বর্তমানে সারা দেশে ১ টি মহিলা ব্যটালিয়ন সহ সর্বমোট ১১ টি আর্মড পুলিশের ব্যটালিয়ন কাজ করে যাচ্ছে।

১১। ইমিগ্রেশন পুলিন- বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও তল্লাশীর কাজে এই ইউনিট।

১২। RAB- ২০০৪ এর ২৬ মার্চ এই বাহিনী গঠিত হয়। যদিও এটি একটি যৌথ বাহিনী তবু এর পরিচালনার দ্বায়িত্ব কিন্তুু পুলিশ সদর দ্প্তরের।

১৩। নৌ পুলিশ – সমুদ্র ও এর আশেপাশের নিরাপত্তায় এ বাহিনী সদা তৎপর।

১৪। টুরিস্ট পুলিশ- ২০০৯ সালে বাংলাদেশের পর্যটক নিরাপত্তার কথা ভেবে কক্সবাজারে এ বাহিনী কাজ শুরু করে।

১৫। পুলিশ অভ্যন্তরিন অভারসাইট- পুলিশ বাহিনীর ভিতরে গোয়োন্দাগীরীর কাজে এ বাহিনী কাজ করে। বাংলাদেশের সব পুলিশ ডিপার্টমেন্টে এ বাহিনী ছদ্দবেশে গোয়ান্দাগীরী করে যাচ্ছে।

অন্যন্য

১। কমিউনিটি পুলিশ

পুলিশ ও জনগণের যৌথ অংশগ্রহণে গঠিত এ বাহিনী পুলিশকে যানজট নিয়ন্ত্রণ, পরিচ্ছন্নতা কাজ সহ বিভিন্ন কাজে সহায়তা করে। উপদেষ্টা পরিষদ ও নির্বাহী পরিষদ নামে এর দুটি অবকাঠামো রয়েছে।

২। বিট পুলিশিং

পুলিশের নারী সদস্যদের স্বমন্বয়ে এ বাহিনী গঠিত। নারী অপরাধী গ্রেফতার, তল্লাশী, আটক এবং কোর্টে আনা-নেয়া করতে এ বাহিনী কাজ করে।

পুলিশ ও আদালত

বিজ্ঞ আদালতের রায়, ডিক্রী ও আদেশ কার্য্যকরণে পুলিশের বিশেষ ভূমিকার কোন বিকল্প নেই। আদালত ও পুলিশ একে অন্যের উপর অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে নির্ভরশীল। ফৌজদারী মামলায় অপরাধ নিয়ন্ত্রনে বাংলাদেশ দন্ডবিধি-১৮৬০ সহ বিভিন্ন বিশেষ আইন প্রয়োগকল্পে আসামী গ্রেফতার, সমন জারী, রিমান্ড গ্রহণ, মামলা গ্রহণ, কোর্টে প্রেরণ, আলামত জব্দ, তদন্ত করা, স্বাক্ষ্য প্রদান সহ তদন্ত সমাপ্তের আগ পর্যন্ত জিআর পুলিশের মাধ্যমে প্রসিকউশান হিসাবে সরকার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। কারা পুলিশ হাজতী আসামীদের তত্বাবধান করে। এছাড়াও দেওয়ানী আদালত, অর্থঋন আদালত, বিশেষ জজ আদালত সহ বিভিন্ন ট্রাইবুন্যাল হতে প্রাপ্ত আটক, ডিটেনশন, ক্রোক, নিলাম ও নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত আদেশ পুলিশ বাহিনী অতি আনুগত্যের সাথে সম্পন্ন করে থাকে। উক্ত কাজের বাইরেও বাংলাদেশ পুলিশ ইমিগ্রেশন, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন এর জন্য ডিপার্টমেন্টাল রকমারি কাজ পরিচালনা করে।

মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ

স্বাধীনতা পূর্ব বাংলাদেশে পুলিশ সদস্যের সংখ্যা ছিল খুবই নগণ্য। বেশির ভাগ বাঙ্গালি পুলিশ সদস্যরাই যুদ্ধের আবাস পেয়ে চাকরী ছেড়ে মুক্তি বাহিনীতে যোগদান করে। ২৫ শে মার্চের কাল রাতে পাকিস্তানী বাহিনী আধুনিক যন্ত্রপাতি সমেত আক্রমণ করিলে বাঙ্গালী সাহসী পুলিশ সদস্যরা ২য় বিশ্ব যুদ্ধে ব্যবহৃত ব্রিটিশ আমলের পুরাতন ৩০৩ রাইফেল দিয়ে জোড়ালো প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। মুক্তিযুদ্ধের দলিল দস্তাবেজ অনুযায়ী ১২৬৩ জন পুলিশ সদস্য মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে শহিদ হওয়ার ইতিহাস বিদ্যমান আছে।

পুলিশ পদক

সাহসিকতা এবং সার্ভিসিং এর মনাদন্ড বিবেচনা করে বাংলাদেশ পুলিশকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক ( পিপিএম) এই ২ ধরনের পদক দেয়া হয়।

বিঃদ্রঃ এই লেখাটির সাম্প্রতিক তথ্য উপাত্ত সমূহ পত্রিকা, সমকালীন সমীক্ষা এবং ইন্টারনেট রিসার্চ নির্ভর হওয়ায় অনিচ্ছাকৃত কোন তথ্যগত ভুল-ত্রুটি বা অসংগতি পরিলক্ষিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কোন অসংগতি দৃশ্যমান হলে দয়া করে কমেন্টে জানাবেন।


GET FREE ADVICE

Consult with our Specialist Lawyer

ADV Matin Sarkaer Mishuk
Phone- 01929125100
E-mail – ranamishuk@gmail.com
See Credentials: Linkedin Portfolio
AIN BISHAROD– (A Legist Law Firm)

  • নামজারী আবেদন নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া

    কামাল দুই বিঘা জমির মালিক এবং সে নিয়মিত সরকারী খাজনা পরিশোধ করে থাকে। সরকারী অফিসে লেখা আছে যে, কাওলা মৌজার আরএস ৫১০ দাগের ২ বিঘা জমির মালিক কামাল। পরবর্তীতে, কামাল উক্ত জমি রহমত এর নিকট বিক্রী করে। যেহেতু বর্তমানে রহমত মালিক কাজেই কামালের নাম কেটে রহমতের নাম সরকারী কাগজপত্রে লিপিবদ্ধ করাই মূলত নামজারী ।

  • বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার পদ্ধতি

    বিদেশ থেকে আম-মোক্তার নামা দলিলের মাধ্যমে প্রতিনিধি নিযুক্ত করে তালাক প্রদানের যথাযর্থতা সম্পর্কে আইনে সুনির্দিষ্ট কোন বক্তব্য নেই। প্রচলিত প্রাকটিস এবং আইনজীবীদের পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই আম-মোক্তারনামা মূলে তালাকের একটা প্রচলন আছে। তবে এ ধরনের তালাক বহুল বিতর্কীত কারন তালাক সংশ্লিস্ট আইনের কিছু বিধান প্রকৃত অর্থে চর্চা করার সুযোগ থাকেনা।

  • আমমোক্তারনামা দলিল বাতিলের নিয়ম

    পাওয়ার অব এটর্নি বা আমমোক্তারনামা দলিল এমন একটি লিগ্যাল ডকেুমেন্ট যার মাধ্যমে একজন ব্যাক্তি তাহার পক্ষে কোন নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করার জন্য তাহার মনোনীত ও বিশ্বস্ত ব্যাক্তিকে ক্ষমতা অর্পণ করে।  আমাদের দেশে পাওয়ার অব এটর্নীর কথা শুনলে অনেকেই জমি-জমার ক্ষমতা অর্পণকে বুঝায়। প্রকৃতপক্ষে পাওয়ার অব এটর্নি বা আমমোক্তারনামা দলিলের মাধ্যমে জমি-জমা ছাড়া আরো অনেক কাজ করা যায়।

  • বিদেশ থেকে আমমোক্তার নামা দলিলের মাধ্যমে  জমি বিক্রি করার পদ্ধতি

    হাবিব সাহেব ইতালি প্রবাসী।  দীর্ঘ সময়ের জমানো  টাকায় ঢাকার সাভারে ৪ কাঠা জমি কিনেছেন ২০০৮ সালে ।  পারিবারিক জরূরী প্রয়োজনে নগদ টাকা দরকার। এত টাকা জোগাড় করতে জমি বিক্রী করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই তার। যেহেতু হাবিব সাহেব বর্তমানে ইতালি আছেন তাই দেশে এসে জমি বিক্রী করা সম্ভব নয়। এ রকম পরিস্থীতিতে হাবিব সাহেব কিভাবে বিদেশে থেকেই বাংলাদেশে জমি বিক্রী করবেন সে বিষয়ে পরামর্শ নিতে আইন বিশারদের অফিসে উপস্থিত তার বড় ছেলে ইয়ামিন।

  • ভূমি উন্নয়ন কর না দিলে যেসব সমস্যা হয়

    বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব আদায়ের খাত সমূহের মধ্যে ভূমি উন্নয়ন কর একটি এবং এই খাত থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব সরকার আহরণ করে থাকে।  যেহেতু ভূমির মালিকানা ব্যাক্তি নামে হলেও এর প্রকৃত মালিক মূলত বাংলাদেশ সরকার কাজেই সে জমি ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে খাজনা প্রদান করতে হয়। 

  • হেবা দলিল রেজিস্ট্রী এবং বাতিল করার সহজ নিয়ম

    কেউ যদি জিবিত অবস্থায় তাহার সম্পত্তি সম্পূর্ণভাবে কারো নামে লিখে দিতে চায় তাহলে দানপত্র দলিল এর মাধ্যমে সহজেই হেবা করে দিতে পারবে। আমাদের দেশে যা হেবা দলিল নামে অধিক পরিচিত। দান শব্দের আরবী প্রতিশব্দ হেবা। কোন অর্থ বা বিনিময় ছাড়া কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় যে দলিলের মাধ্যমে কোন সম্পত্তি হস্তান্তর করেন তাকে দানপত্র বলে।

  • চেকের মামলা করার আগে সাবধান থাকুন !

    চেকের মামলায় মহামাণ্য হাইকোর্ট ডিভিশান অতি সম্প্রতি একটি যুগান্তকারী রায় প্রদান করেছেন। রায়ে চেকে লেনদেন সংক্রান্ত কোন লিখিত ডকুমেন্ট বা দুই পক্ষের কনসিডারেশন কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কাজেই, চেকের লেনদেনের ক্ষেত্রে সম্ভব হলে স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তি করে নেয়া ভাল। তবে, চেকের মামলা করতে চুক্তি থাকতেই হবে এ ধারনা ভূল।

  • তালাক প্রত্যাহার বা তালাক বাতিল করার নিয়ম

    তালাক দিলেই সাথে সাথে সেই তালাক কারযকর হয় না। মুসলিম শরীয়া আইন এবং পারিবারিক আইনের বিধান মতে তালাক দিবার ৯০ দিন পর সেই তালাক কার্যকর হবে। ৯০ দিনের এই সময়কে ইদ্দতকালীন পিরিয়ড বলা হয়। তালাক দেবার পর তালাক দাতা যদি মনে করে তার সিদ্ধান্ত ভূল এবং সে এই তালাক বাতিল করতে চায় তাহলে তালাক গ্রহীতার নিকট লিখিত নোটিশ দিয়া তালাক প্রত্যাহারের বিষয়টি জানাতে হবে।

  • জমির দলিল, খতিয়ান, নকশা, মৌজা ম্যাপ কোনটা কোন অফিসে পাবেন

    জমি বেচা-কেনা বা হস্তান্তর করা, জমির অনুকূলে ব্যাংক হইতে বন্ধক রেখে লোন উঠাতে গেলে বা সরকারী বন্দোবস্তের টাকা উঠাতে এমন কি জমিতে বিল্ডিং করার জন্য প্লান পাশ করাতে গেলেও এসব কাগজপত্র প্রয়োজন হয়।

  • কোর্ট ম্যারিজ এবং কাজী অফিসে বিয়ের পার্থক্য

    আজ কোর্টে সীমা আর রাজীবে বিয়ে। বন্ধুরা সবাই মিলে বিয়ের সব ব্যাবস্থা করেছে। বিয়ে হবে জজ কোর্টে। রাজীবের এক স্কুল বন্ধু জজ কোর্টের আইনজীবী, তার নাম সিদ্দিক। সিদ্দিক সাহেবের সাথে কথা বলে বিয়ের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে রাজীব।

  • স্বামী কর্তৃক তালাক নোটিশ ফরম পূরণের নিয়ম 

    শখের বশে বা খামখেয়ালী থেকে কেউ তালাক দেওয়ার মত গর্হিত সিদ্ধান্ত নেয়না। সংসার জীবনে চলতে গেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন কুট-তর্ক, ভুল-বুঝাবুঝি এবং জটিলতা হতেই পারে। সাংসারিক সব জটিলতা যখন সহ্যসীমা বা আত্বমর্যাদাবোধ ছাপিয়ে যায় তখন শান্তির খোঁজে মানুষ তালাকের সিদ্ধান্ত নেয়।

  • বিদেশ থেকে পাওয়ার অব এটর্নি দেবার সরকারী গেজেট

    বাংলাদেশের বাহির হতে আমমোক্তার দলিল প্রদানের সরকারী নির্দেশনা গেজেট (বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ২৩, ২০১৫ তফসিল ক ফরম-৩) এর নির্দেশিকা

Facebook
Twitter
LinkedIn

সাম্প্রতিক পোস্ট

নামজারী আবেদন নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া

কামাল দুই বিঘা জমির মালিক এবং সে নিয়মিত সরকারী খাজনা পরিশোধ করে থাকে। সরকারী অফিসে লেখা আছে যে, কাওলা মৌজার আরএস ৫১০ দাগের ২ বিঘা জমির মালিক কামাল। পরবর্তীতে, কামাল উক্ত জমি রহমত এর নিকট বিক্রী করে। যেহেতু বর্তমানে রহমত মালিক কাজেই কামালের নাম কেটে রহমতের নাম সরকারী কাগজপত্রে লিপিবদ্ধ করাই মূলত নামজারী ।

Read More »
তালাক দেওয়ার নিয়ম

বিদেশ থেকে তালাক দেওয়ার পদ্ধতি

বিদেশ থেকে আম-মোক্তার নামা দলিলের মাধ্যমে প্রতিনিধি নিযুক্ত করে তালাক প্রদানের যথাযর্থতা সম্পর্কে আইনে সুনির্দিষ্ট কোন বক্তব্য নেই। প্রচলিত প্রাকটিস এবং আইনজীবীদের পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই আম-মোক্তারনামা মূলে তালাকের একটা প্রচলন আছে। তবে এ ধরনের তালাক বহুল বিতর্কীত কারন তালাক সংশ্লিস্ট আইনের কিছু বিধান প্রকৃত অর্থে চর্চা করার সুযোগ থাকেনা।

Read More »

আমমোক্তারনামা দলিল বাতিলের নিয়ম

পাওয়ার অব এটর্নি বা আমমোক্তারনামা দলিল এমন একটি লিগ্যাল ডকেুমেন্ট যার মাধ্যমে একজন ব্যাক্তি তাহার পক্ষে কোন নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করার জন্য তাহার মনোনীত ও বিশ্বস্ত ব্যাক্তিকে ক্ষমতা অর্পণ করে।  আমাদের দেশে পাওয়ার অব এটর্নীর কথা শুনলে অনেকেই জমি-জমার ক্ষমতা অর্পণকে বুঝায়। প্রকৃতপক্ষে পাওয়ার অব এটর্নি বা আমমোক্তারনামা দলিলের মাধ্যমে জমি-জমা ছাড়া আরো অনেক কাজ করা যায়।

Read More »

Recent