Power of attorney Bangladesh

+8801929125100

মুসলিম আইনে সম্পত্তিতে নারীর অধিকার

মুসলিম আইনে সম্পত্তিতে নারীর অধিকার

আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বর্তমান সময়েও অন্যায় ভাবেসম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নারীরা। সমাজ ব্যাবস্থা নারীদেরকে এখনো ন্যায় বিচার ও ন্যায্য অধিকার দিতে ব্যার্থ্য। আমাদের গ্রামীণ সামজে এখনো অনেক নারী উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সাধারণত মুসলিম আইন অনুযায়ী বাবার সম্পত্তিতে একজন ছেলে সন্তান যে সম্পদের ভাগ পায়, কন্যা সন্তান তার অর্ধেক ভাগ পায়। বাবা – মা সহ অন্যন্য সম্পর্ক হতেও নারীরা সম্পত্তির ওয়ারিশান ভাগ পেয়ে থাকে। নারীদের বিভিন্ন অধিকার সম্পর্কে জানাতে আজকের এই আয়োজন।

দেনমোহরের অধিকার

মুসলিম আইন অনুযায়ী একজন মুসলিম নারী বিয়ের পর স্বামীর কাছ থেকে দেনমোহর বাবদ একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ পেয়ে থাকে। যা স্বামীকে অবশ্যই বিয়ের আগে অথবা বিয়ের পরে পরিশোধ করতে হয়। অন্যথা স্ত্রী তা যেকোনো সময় আইন অনুযায়ী আদায় করতে পারবে।

কোনো কারণে স্বামী জীবিত অবস্থায় পরিশোধ করে যেতে না পারলে তার মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি থেকে তা পরিশোধ করতে হয়। এই অধিকার ইসলাম নারীকে দিয়েছে, তা প্রত্যাখান করার কোন সুযোগ নেই।

ছবি: সাংকেতিক

ভরণ পোষণের অধিকার

মুসলিম আইন অনুযায়ী বিয়ের পর নারীদের যাবতীয় খরচের দায়-দায়িত্ব পুরুষের ওপর বর্তায়। পুত্রসন্তান উপার্জনক্ষম হলে তার ওপর সংসারের যাবতীয় দায়দায়িত্ব এসে পড়ে। আর সে যখন স্বামী তখন তাকে স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে হয়, সে যখন বাবা তখন তাকে তার ছেলেমেয়েদের ভরণপোষণ দিতে হয় এবং মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে হয়।

আরো পড়ুন:

তালাক দেওয়ার বৈধ নিয়ম
জমির ১৫ প্রকার দলিল সহজে চেনার উপায়
জমি বেদখল হলে কী করবেন
মামলা থাকলে কি চাকরী হয়?
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সম্পর্কিত ২০ টি কমন প্রশ্ন-উত্তর 

যখন সে ভাই তখন ছোট ভাইবোনদের ভরণপোষণ এবং অবিবাহিত বোনদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে হয়। এ ছাড়া আমাদের দেশে মা-বাবার ভরণপোষণ নিয়ে আলাদা আইনও রয়েছে। ইসলাম ধর্মে এসব দায়দায়িত্ব থেকে নারীকে অব্যাহতি দিয়ে শুধু তা পুরুষের ওপরই অর্পণ করা হয়েছে। অপরদিকে কন্যা সন্তানের বেলায় এসব দায়িত্ব পালন করা ঐচ্ছিক ব্যাপার। নারীরা এসব দায়িত্ব পালন না করলেও তাকে বাধ্য করা যায় না।

উত্তরাধিকারীর ক্ষেত্রে

একজন পুরুষ হিসাবে উত্তরাধিকারসূত্রে শুধু মা-বাবার সম্পদ থেকেই অংশ পায়। অপরদিকে একজন নারী সন্তান হিসেবে মা-বাবার কাছ থেকে, এবং বিয়ের পর স্বামী মারা গেলে স্ত্রী হিসেবে স্বামীর কাছ থেকে, মা হিসেবে সন্তানের কাছ থেকে সম্পত্তির অংশ পায়।  নারীদের ওয়ারিশান সব দিক বিবেচনা করলে নারীরা একজন পুরুষের চেয়ে বেশী সম্পত্তির উত্তারাধিকার হয়।

মুসলিম আইনে নারীদের সম্পত্তির যে অধিকার রয়েছে তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হলে কোনো নারী উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে বঞ্চিত হবে না। আমাদের দেশে বেশির ভাগ মুসলিম নারী আইন অনুযায়ী প্রাপ্য অধিকার পায় না। এতে স্বামী মারা গেলে বা বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তাদের অনেক কষ্ট ভোগ করতে হয়। এখনো গ্রামের অনেক নারী, এমনকি শহরেও বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয় নারীরা।

LET US HELP YOU-

Consult with our Specialist Lawyer

ADV Matin Sarkaer Mishuk

Phone- 01929125100

E-mail – [email protected]

See Credentials: Linkedin Portfolio

AIN BISHAROD– (A Legist Law Firm)

Facebook
Twitter
LinkedIn

সাম্প্রতিক পোস্ট

ভাড়া চুক্তিপত্র

দোকান / বাণিজ্যিক স্পেস ভাড়া চুক্তিপত্র নমুনা

বাড়ি ভাড়া বা দোকান ভাড়া দেয়া-নেয়ার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের মধ্যে সু-নির্দিষ্ট চুক্তি থাকা আবশ্যক। উক্ত চুক্তি পত্রে উভয়ৈর দ্বায়িত্ব – কর্তব্য এবং আর্থিক লেনদেনর বিষয় উল্লেখ থাকতে হয়। চুক্তি মেয়াদ শুরু, চুক্তি মেয়াদ শেষ এবং উপ-ভাড়াটিয়া নিয়োগ ও সার্ভিস চার্জ প্রদানের মতো সুক্ষ বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে দু-পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে নিতে হয়। ভাড়া চুক্তির মধ্যে এসব বিষয় উল্লেখ না থাকে ভাড়া দাতা এবং ভাড়াটিয়া দুজনের মধ্যে ভবিষ্যতে বিভিন্ন ঝামেলার সৃষ্টি হয়। একটি আদর্শ ভাড়া চুক্তির নমুনা এখানে দেয়া হল আমাদের পাঠকদের বুঝার সুবিধার্থে।

Read More »
দেনমোহর আদায়

দেনমোহর আদায় করবেন কিভাবে ?

আমাদের সমাজে দেখা যায় বিয়েতে দেনমোহর নগদ পরিশোধের ব্যাপারটি সরাসরি উপেক্ষা করা হয়। হাতে গোনা কয়েকটা বিয়ে ছাড়া নগদ দেনমোহর আদায় এর উদাহরন খুব কম। অনেকে আবার দেনমোহর দেয়া দূরের কথা বিয়েতে দেয়া বিভিন্ন উপহার কে উসূল দেখিয়ে দেনমোহরের সাথে স্বমন্বয় করে নেয়। বিয়ের পর বক্রী দোনমোহরের অর্থ নিজ তাগিদে কোন স্বামী পরিশোধ করেন না ফলে স্ত্রী তাহার দেনমোহরের পাওনা হতে আজীবন বঞ্চিত থাকেন।

Read More »

নামজারী আবেদন নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া

কামাল দুই বিঘা জমির মালিক এবং সে নিয়মিত সরকারী খাজনা পরিশোধ করে থাকে। সরকারী অফিসে লেখা আছে যে, কাওলা মৌজার আরএস ৫১০ দাগের ২ বিঘা জমির মালিক কামাল। পরবর্তীতে, কামাল উক্ত জমি রহমত এর নিকট বিক্রী করে। যেহেতু বর্তমানে রহমত মালিক কাজেই কামালের নাম কেটে রহমতের নাম সরকারী কাগজপত্রে লিপিবদ্ধ করাই মূলত নামজারী ।

Read More »

Recent